স্বাগতম, স্বাগতম, স্বাগতম! (লিখাটি অবশ্যই পরবেন)
নুরেন্সি একাডেমির কোর্স শুরু করার আগে আপনার জন্য কিছু কথা
পড়াশুনা, খেলাধুলা, চাকুরী, বিয়ে যা-ই করতে যান দরকার মানুষিক প্রস্তুতি। তেমনি ভাবে ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন শিখার জন্য মানুষিক ভাবে পূর্ণ প্রস্তুত হতে হাবে। আপনাকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য অদম্য আগ্রহি হতে হবে। আপনি এই কোর্সের মাধ্যমে একটি দীর্ঘ যাত্রা শুরু করবেন। লক্ষ থাকবে দক্ষতা অর্জন। প্রতিদিন আপনি ভালো সময় বের করে ধারাবাহিক ভাবে কোর্সটি করে যান। ইনশাআল্লাহ, এই কোর্সটি আপনার দক্ষতা অর্জনে ব্যপক ভূমিকা রাখবে।
কোর্স করতে গিয়ে নিজেকে এমন চাপে ফেলবেন না যে আজই কোর্স শেষ করে ফেলতে হবে, বা কোর্স শেষ করেই সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি কোটি ডলার অ্যায় করে ফেলবেন। বা কোথাও লাখটাকার একটা জব পেয়ে যাবেন।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে একটা তথ্য শেয়ার করি। আমার ১০ বছরের প্রফেশনাল লাইফে এমন অনেককেই চিনি যারা কোন কিছু শিখার আগেই এমন আশা করেছিলেন। যে তারা ৩মাসের একটি কোর্স করে লাখটাকা আয় করে ফেলবেন। ফলে তারাহুড়া এবং অস্থির অবস্থায় কোর্স কোনভাবে শেষ করে। ধারাবাহিক প্র্যাকটিস করে না। যে টার্মস বা পদ্ধতি গুলো শিখেছে তা নিয়ে নিজ থেকে আরো স্টাডি করে না। চরম হতাশ হয়ে হাতে শূন্য ফল নিয়ে অন্য কোন লোভনীয় কোর্সের ফাঁদে পা দেয় এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
তাই আমি অনুরোধ করবো, নিজেকে মানুষকিক ভাবে প্রস্তুত করুন কোর্সটি শেষ করার দিকে।
প্রাইমারি গোল অফ ডিজাইনঃ
ডিজাইনের প্রাইমারি গোল হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সমস্যা বা প্রয়োজনের জন্য এমন একটি সলিউশন বের করা যা ব্যবহারযোগ্য হবে, যথাযথ ভাবে কার্যকরি হবে, দেখতে হবে নান্দনিক। সেটা হতে পারে ডিজিটাল প্রোডাক্ট। যেমন ঃ মোবাইল এপ্লিকেশন, ওয়েবসাইট।
হতে পারে প্রিন্টেবল প্রোডাক্ট। যেমন বিজনেস কার্ড, লিফলেট বা পোস্টার।
আবার হতে পারে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট। যেমন চেয়ার, টেবিল, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি।
এইগুলোর প্রত্যেকটিই দেখবেন আমাদের কোন না কোন সমস্যার সমাধান করছে। সো আপনি ডিজাইনার হতে যাচ্ছেন মানে কোন না কোন সমস্যা বা প্রয়োজনে একটি সমাধান বের করতে ভূমিকা রাখবেন।
আপনি যদি যথাযথ ভাবে ডিজাইন শিখতে চান এবং প্রফেশাল ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে যথাযথ মাইন্ডসেট রাখতে হবে।
গ্রোথ মাইন্ডসেট রাখা
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক Carol Dweck ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ছাত্রছাত্রীদের ব্যর্থতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি লক্ষ করেন যে কিছু শিক্ষার্থী সামান্য বাধার সম্মুখীন হলেই হালছেড়ে দেন আবার কিছু শিক্ষার্থী কোন কিছুতে ব্যর্থ হয়েও নতুন উদ্যমে শুরু করেন। ফলে তারা বাধা অতিক্রম করে সফল হয়ে যান।
এই কোর্স করতে গিয়ে আমরা নতুন নতুন টার্মসের সাথে পরিচিত হবো। অনেক কিছু বিভিন্ন ওয়েতে প্র্যাকটিস করবো। অনেক সময় প্রথম শুনেই আমরা সব কিছু বুঝবো না আবার অল্প প্র্যাকটিসেই সব পারফেকটলি ডিজাইন করতে পারবো না। অনেক সময় আমরা প্রাকটিস করতে গিয়ে নিজের কাছে মনে হবে যে আমাকে দিয়ে মনে হয় আর হবে না। এইযে আপনি অল্পত্বেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন তা আপনার ফিক্সড মাইন্ডসেটের কারণে।
আপনি যদি মাইন্ডসেটটা গ্রোথের দিয়ে ধাবিত করতে পারেন যে আমি পারবোই, আমাকে পারতেই হবে, যে কোন মূল্যে আমি কোর্স শেষ করবো এবং যথাযথ প্র্যাকটিস করবো। তাহলে আপনি দ্রুতই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
আপনার গ্রোথ মাইন্ডোসেট ডেভেলপ হবে…
– নতুন কিছু গ্রহণের মাধ্যমে
– পজিটিভ এটিচুড ধারণের মাধ্যমে
– নিয়মিত শিখার মাধ্যমে
একটা কথা মনে রাখবেন, এই কোর্স শেষ করার পর আপনার ডিজাইন নিয়ে সব কিছু শিখা শেষ এইটা কখনো মনে করবেন না। এবং এই বিশ্বাস কখনোই ধারণ করবেন না। তাহলে আপনার শিখার দরজায় তালা লেগে যাবে। বরং এই কোর্স আপনাকে ডিজাইনের ক্যারিয়ার গড়তে একটা লেভেলে নিয়ে যাবে। আপনার বেসিক পোক্ত করবে। এভাবে নিয়মিত শিখার মাধ্যমে আপনার লেভেল ডেভেলপ করবেন।
ওপেন মাইন্ডেড হওয়া
প্রতিটা মানুষের সুন্দর একটি মন রয়েছে। যার মন যত খোলা পৃথিবী তার জন্য তত উম্মোক্ত। একজন ডিজাইনারের মন সব সময় খোলা রাখা আবশ্যক। একজন ওপেন মাইন্ডেড ডিজাইনার একই বিষয়ে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে পারেন। নানান ভাবে আইডিয়া জেনারেট করতে পারেন। অন্যের মতামত গ্রহণ ও অভজার্ব করতে পারেন। যা অন্যের কাজের উপর শ্রদ্ধাশীল করে তুলে। সুতরাং ডিজাইন লার্নারদের মনকে খোলা রাখা নিজের ক্যারিয়ার গ্রোথের জন্য আবশ্যক।
সমালোচনা বা ক্রিটিসিজম গ্রহণ করাঃ
আমি যখন ডিজাইন শিখা শুরু করি তখন আমার ভাগ্য সু-প্রসন্ন ছিল। আমি সহজেই ডিজাইন কমিউনিটির সাথে এংগেজ হয়ে গিয়েছিলাম। ফলে আমার ডিজাইন শিখার শুরু থেকেই ডিজাইন কমিউনিটিতে (বিশেষ করে বি-ডিজাইনার গ্রুপে) ডিজাইন গুলো শেয়ার করতাম আর বলতাম “ধুয়ে দিন”। তখন কেউ কেউ ডিটারজেন্টের সাথে ব্লিচিং দিয়ে ধুয়ে দিতো মানে সমালোচনা করতো। কোন জায়গাতে আরও ইম্প্রুভ করতে হবে, কখনো বিকল্প এবং সহজ সলিউশনের সাজেশন দিতো। I am always right এ চিন্তা মাথাথেকে একদম দূর হয়ে গেলো। আর এ সমালোচনা গুলো গ্রহণ করার ফলে দ্রুতই ডিজাইনে ইম্প্রুভ আসা শুরু করলো। এবং সমালোচনাকারীরা আমার পরম বন্ধু হয়ে গেলো। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনারা যেহেতু ডিজাইন শিখা সবে শুরু করেছেন অবশ্যই নিজেকে অন্যের সমালোচনা খোলামনে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করুন। যারা আপনার ডিজাইনের যৌক্তিক সমালোচনা করবে তাদের বন্ধু বানান।
ক্রিটিসিজম একটি ডিজাইনকে গুড ইউজার এক্সপেরিয়েন্সড করতে হেল্প করবে। অন্যদিকে আপনি কারো লার্নিং স্টেইজে আপনি কারো ভুল ধরতে যাবেন না। ভালো লাগলে সৌজন্যতার সাথে কিভাবে করছে জানার চেষ্টা করুন। কারো ডিজাইন অসুন্দর হলে সম্মানের সাথে আপনার আইডিয়া এক্সচেইঞ্জ করুন এবং উৎসাহ দিবেন। আপনার পোস্টে কেউ অশালীন কমেন্ট করলেও তার সাথে শালীনতা বজায় রেখে ব্যপারটা ডিল করবেন। কারো কমেন্টে নিরুৎসাহিত হবেন না। আপনার পোস্টে পজিটিভ নেগিটিভ যাই কমেন্ট করুক না কেনো আপনি একটি ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না যেন পরবর্তিতে আপনার ডিজাইনের ভুল ধরতে উৎসাহী হয় এবং আপনাকে অনুপ্রাণিত করে।
বি কিউরিয়াস এবং অবজার্ভঃ
কৌতূহলী হওয়া একজন ডিজাইনারের অন্যতম গুন। কৌতুহল মানুষকে নতুন কিছু শিখা ও জানার পথ দেখায়। ঘটনার পিছনের ঘটনা জানতে হেল্প করে। আপনি যত বেশি কৌতুহলি হবেন তত বেশি সৃজনশীল হবেন। কৌতুহলি হওয়ার করনে নতুন কিছু শিখার প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
মনে বেশি বেশি প্রশ্ন জাগবে। কি, কেনো, কিভাবে, কার জন্য ইত্যাদি প্রশ্নবানে জর্জরিত হবেন। ফলে একই বিষয় ভিন্নভাবে শিখ্বেন। একই যাহ ভিন্ন ভাবে করার ট্রাই করবেন যতক্ষণ না আপনি ভালো ভাবে শিখতে পারছেন বা ভালো কিছু করতে পারছেন। যেমন ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, তাহলে কৌতূহলী হয়ে বুঝার চেষ্টা করুন, এটি কিসের ওয়েব সাইট, কেনো বানানো হয়েছে, কাদের জন্য বানিয়েছেন? কিভাবে ডিজাইনটি করেছে? ওয়েবসাইটটিতে কোন ত্রুটি আছে কি না, থাকলে কি সমাধান হতে পারতো, ইত্যাদি ইত্যাদি।
সি ক্রিয়েটিভিটি, বি ক্রিয়েটিভঃ
একজন ডিজাইনার ও ডিজাইন লার্নারের জন্য সৃজনশীল কাজ বেশি বেশি দেখাটা অত্যাবশ্যক মনে করি। আমাদের চারপাশের নানান সৃজনশীল কাজগুলো বেশি বেশি দেখলে আমরা অনুপ্রাণিত হবো। সেই সাথে নিজের মধ্যেও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। আমাদের কল্পনার জগত আরও বিস্তৃত করতে পারবো। মনে রাখবেন, কয়েকটি সৃজনশীল জিনিশের সমন্বয়ে আরও একটি সৃজনশীল / ক্রিয়েটিভ জিনিস তৈরি করতে পারবো।
তবে আমরা যেহেতু ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডিজাইন করবো তাহলে আমরা অন্য সৃজনশীল কাজ থেকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডিজাইন, যেমন, এপ, ওয়েবসাইট, ড্যাশবোর্ড একটু বেশি দেখবো। আরও দেখবো ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি, ব্যানার, ক্রিয়েটিভ আর্ট, ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদিও বেশি বেশি দেখবো। যা আমাকে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন করতে হেল্প করবে।
ডিজাইন শুধু দেখে যাবেন না। দেখার সময় খিয়াল করবেন, ডিজাইনার কেনো ডিজাইনটি করেছে? করতে গিয়ে কি কি ডিজাইন এলিমেন্ট ইউজ করছে, এলিমেন্ট গুলোকে কিভাবে ডেকোরেট করছে, সে কালার কিভাবে ইউজ করছে, বিশেষত একাধিক কালার এক সাথে ইউজের সময় কোন কালারের সাথে কোন কালার ইউজ করছে। টেক্সগুলো কিভাবে লিখছে, ফন্ট সাইজ অনুয়ায়ী একটা লাইন থেকে অন্য লাইনের দূরত্ব কতটুকু দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে আপনার চোখকে ও ব্রেইনকে ট্রেইন করবেন।
ডিজাইন দেখার সময় প্রয়োজনে সংরক্ষণ করবেন যেনো আপনি ডিজাইন প্র্যাকটিস বা ডিজাইন করার সময় সহজেই অনুপ্রেরণা নিতে পারেন।
আপনি যে জায়গাতে ডিজাইনের অনুপ্রেরণা নিতে পারেন সে গুলো হলোঃ
ড্রিবল, বিহেন্স, পিন্টারেস্ট,
আর আপনার চারপাশ তো আছেই।
কিভাবে সহজেই অনুপ্রেরণা গুলো অরগানাইজলি সংরক্ষণ করা যায় তা আমরা অন্য লেসনে প্র্যাক্টিক্যালি দেখাবো।
এক্সপ্লোর এক্সিস্টিং প্রোডাক্টঃ
আমরা যেহেতু ডিজিটাল প্রোডাক্টের ইউএক্স এবং ইউআই করবো, আমাদের উচিত হবে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্ট লাইক ওয়েব সাইট, মোবাইল এপ্লিকেশন এবং ওয়েব এপ্লিকেশন বেশি বেশি ব্রাউজ করা। যেমন ইকমার্স সাইট সম্পর্কে ধারনা পেতে দারাজ, রকমারির মত ওয়েব সাইট বা এপ গুলো ব্রাউজ করা। টেলিকমিউনিকেশন এপ্লিকেশন যেমন মাই জিপির মত এপ, এভাবে নানান ক্যাটাগরির এপ গুলো ব্রাউজ করা।ব্রাউজ করার সময় কয়েকটি প্রশ্ন মাথা রাখা
– এই এপটি কেনো ইউজ করা হবে?
– কিভাবে ইউজ করা হবে?
– ইউজ করতে গিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না?
– কোন ফিচার কিভাবে কাজ করছে ইত্যাদি ইত্যাদি
আমরা যখন একি ক্যাটাগরির দুইটা সাইট বা এপ ব্রাউজ করবো তখন কিন্তু আমরা ধরতে পারবো কোন ওয়েব সাইটটা বা এপ টা তুলনামূলক সহজেই ব্যবহার করতে পারলাম, ব্যবাহের সময় কতটা উপভোগ্য ছিল। দুইটার মধ্যে তুলনামূলক সহজ সলিউশন কে দিয়েছে ইত্যাদি। আমরা যদি এভাবে ব্রাউজ করতে পারি তাহলে বিভিন প্রোডাক্ট, ফিচার ও সলিউশনের ব্যপারে জ্ঞান অর্জন করতে পারবো।
এ নিয়ে আমাদের একটি বিস্তারিত লেসন রয়েছে যেখানে প্র্যাক্টিক্যাললি দেখিয়েছি কিভাবে নানান এপ ব্রাউজ করে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে পারবেন।
জয়েন ডিজাইন কমিউনিটি এবং ফলো ইউর নর্থ স্টারঃ
আমার ডিজাইনার হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান বি-ডিজাইনার গ্রুপ সহ অন্যান্য কমিউনিটি গ্রুপের। আমরা যখন ডিজাইন শিখি তখন এখনের মত এতো কোর্স ছিল না। ভরসা ছিল কমিউনিটির বড়ভাই গুলো। ডিজাইন কমিউনিটিতে জয়েনের ফলে অনেক বড় ভাইদের সাথে পরিচয় হয় এবং তাদের কাছে ডিজাইনের অনেক বিষয় জানতে ও শিখতে পারি।
নানান গ্রুপে প্র্যাকটিস ওয়ার্কগুলো পোস্ট দিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মতামত চাইতাম। মতামতের জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম। উনাদের মতামত থেকে কখনো সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেতাম, কখনো নিজের ভুলগুলো ধরতে পারতাম।
এজন্য, আমরা যারা নতুন ডিজাইন শিখছি আমাদের উচিত হবে এমন ডিজাইন গ্রুপগুলতে জয়েন করা। এক্সপার্ট ডিজাইনারদের ফলো করা। তারা অনেক সময় গ্রুপে বা নিজের প্রোফাইলে ডিজাইন শেয়ার করে থাকেন যেখান থেকে আপনি অনুপ্রাণিত হতে পারেন। অনেক সময় ডিজাইন নিয়ে নানান টিপস শেয়ার করেন সেগুলো থেকেও উপকৃত হবেন। ডিজাইন কমিউনিটি গুলতে অনেক সময় ডিজাইন ডিসকাশন হবে, ডিজাইন ট্রেন্ড, টুলস এবং প্রসেস নিয়েও আলোচনা হবে। যা থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
ডিজাইন কমিনিউনিটি সাইটগুলো যেমন ড্রিবল, বিহেন্সও যাদের ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় তাদের কে ফলো করে রাখবেন যেন তারা ডিজাইন শেয়ার দিলে আপনি পেয়ে যান।
কমিউনিটিতে জয়েন বা অন্যকে ফলো করার সময় কমিউনিটি রুলস গুলো পড়ে নিবেন এবং এ গুলো মেনে কমিউনিটিতে এংগেজ থাকার চেষ্টা করবেন। কারো থেকে কোন কিছু পার্সোনালি জানতে চাইলে ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করুন। যেহেতু তারা তাদের ক্যারিয়ার ও লাইফ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করে, তাই আপনার ম্যাসেজ বা কমেন্ট তাদের নজরে নাও আস্তে পারে সুতরাং অপেক্ষা করুন। প্রয়োজনে একটু বেশি সময় অপেক্ষা করুন। আপনি উত্তর না পেলে অন্য আরেকজনের কাছে জানতে চান, আরেকজনের কাছে না পেলে আরেক জনের কাছে। দেখবেন কেউ না কেউ রিসপন্স করবে। তবে তাদের বেশি বিরক্ত করবেন না এবং রিস্পন্স না পেলে নিজেও বিরক্ত হয়ে অশালীন কিছু বলে বসবেন না। আজ না হোক কাল এক সময় না এক সময় তারা আপনার কাজে লাগবেই। আপনি কেনো তাদের হারাতে যাবেন?
আপনাদের জার্নি সহজ হোক। আমিন